পৃথিবীর যে কোন দেশ কে বদলে দিতে প্রয়োজন দক্ষ এবং সুশিক্ষিত তরুন সমাজ। আমাদের বাংলাদেশ ডিজিটাল হচ্ছে কিন্তু তরুন সমাজ কি এই আধুনিকায়নের ফাঁদে পড়ে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে না তো? চলুন তা নিয়েই বিস্তারিত একটু আলোচনা করি।
সুশিক্ষার অভাব
একটা উক্তি প্রচলিত আছে যে “সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত “। আমাদের দেশে এখনো ৪০% নিরক্ষর মানুষ রয়েছে,এই নিরক্ষর মানুষ এর অনেক অংশ সঠিক ভাবে শিক্ষিত না হওয়ায় তারা বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকে। কিন্তু আমাদের অনেক তরুন শিক্ষিত হওয়ার পরেও অসামাজিক কার্যকলাপ করে এর প্রধান তারা পুথিগত বিদ্যায় শিক্ষিত হলেও সামাজিক শিক্ষায় সঠিক ভাবে শিক্ষিত নয়। যার কারনে তারা মাদক এবং অন্যান্য কুকর্মে আসক্ত
বেকারত্ব
এখানে শুধু মাত্র সামাজিক শিক্ষার অভাবের দোষ দিলে হবে না আরো কিছু কারন আছে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম বেকারত্ব। তরুন সমাজ শিক্ষিত হওয়ার পরেও সম্মানজনক পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করতে না পেরে হতাশ হয়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। তাই এর থেকে উত্তরন এর জন্য তরুনদের উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করতে হবে এবং অন্য যে কোনো কাজে দক্ষ হতে হবে
আধুনিকায়নের কারনে পশ্চিমা প্রভাব
আচ্ছা সবাই একটু ভেবে বলুন তো আমরা যে পশ্চিমা সংস্কৃতি অনুকরণ করার চেষ্টা করি তা কি আদৌ সঠিক ভাবে করতে পারি? না পারি না, বরং সেই সংস্কৃতির অপব্যাবহার করি। পশ্চিমা সংস্কৃতির দোহায় দিয়ে আমরা যত রকম অসামাজিক কাজ আছে তা করার চেষ্টা করি।
আজকের এই আধুনিক বিশ্বে স্মার্ট হয়ে চলতে হবে তা ঠিক কিন্তু স্মার্ট হওয়া মানেই দুই আঙুল এর মাঝে সিগারেট নিয়ে সুখটান দেওয়া না, স্মার্ট হওয়া মানে মদের পার্টি দেওয়া না, স্মার্ট হওয়া মানে রাস্তায় স্কার্ট পড়ে হাঁটা না।
ডার্ক রুম
ইদানিং শুনি কিছু বন্ধু বান্ধবী ডার্ক রুমে গিয়ে খুব মজা করছে একান্তে সময় কাটাচ্ছে তাদের প্রেমিক প্রেমিকার সাথে। সত্যি কথা বলতে কি প্রকৃত প্রেমিক-প্রেমিকা কখনো ডার্ক রুম এ গিয়ে সময় কাটায় না।ডার্ক রুমে তারাই যায় যাদের দেহ ছোঁয়াছুঁয়ির করার ইচ্ছা।
সিসা লাউঞ্জ রেস্তোরাঁ
রাজধানী সহ দেশের কিছু জায়গায় রেস্টুরেন্ট এর নামে ভিতরে এক কালো দুনিয়া আছে। যেখানে ১৬-২৫ এর কিশোর, তরুনরা সিসা পান করে।এই সিসা হলো উচ্চমাত্রার নিকোটিন সমৃদ্ধ তামাক। যার মধ্যে সিগারেট এর চেয়েও দশ গুন বেশি নিকোটিন থাকে,যার কারণে রক্তে মাদক এর চাহিদা বেড়ে যায় এতে করে তরুনরা মাদক এর দিকে ঝুঁকে পড়ে। তাই প্রসাশনিক ভাবে এইসব রেস্টুরেন্ট বন্ধ করতে হবে।
উপরোক্ত সমস্যা গুলো আমাদের জানা,কিন্তু আমাদের অজানাতেও আরো কিছু সমস্যা আছে যা আমাদের তরুন সমাজ কে নষ্ট করে দিচ্ছে। তাই এইসব প্রতিকার অতিসত্তর জরুরি। না হলে একের পর এক হতাশার প্রজন্ম জন্ম হবে আমাদের সমাজে।