আজকাল বেশিরভাগ ভালো এবং বড় ফোন রিলিজের সাথে সাথে উন্নত এবং ফাস্ট চার্জিং স্পিডের বিষয়গুলোও তারা মাথায় রাখে। ফাস্ট চার্জারগুলি কীভাবে কাজ করে এবং কীভাবে তারা আরও ফাস্টেস্ট হচ্ছে তা আমরা আজ আলোচনা করবো।
ফাস্ট চার্জিংয়ের উত্থান
বাজারে সাম্প্রতি প্রতিটি ফ্ল্যাগশিপ ফোনে এক ধরণের ফাস্ট চার্জ হওয়ার ফিচার দিয়ে থাকে। উৎপাদক রা প্রায়সই তাদের নতুন ডিভাইসগুলির মার্কেটিং করতে গিয়ে “৩০ মিনিটে ৮০%” বা “এক ঘন্টার মধ্যে সম্পূর্ণ চার্জ” এমন ধাচের প্রচারনা করে থাকে।
ফাস্ট চার্জিংয়ের বিষয়টি মানুষকে ফোন আরো বেশি ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে এবং এতে করে অনেক লোককে প্রতিদিন একাধিকবার ফোন রিচার্জ করতে হচ্ছে। এটিও একটি প্রয়োজনীয়তাও বটে। প্রতিবছর ফোনের আকারগুলি বড় হওয়ার সাথে সাথে অতিরিক্ত বিদ্যুতের খরচ ব্যবহারের জন্য তাদের আরও বড় ব্যাটারি প্রয়োজন হচ্ছে। আর এখানে দ্রুত চার্জের ব্যবস্থা না থাকলে একটা ফোন চার্জ হওয়ার জন্য অনেকটা সময় ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
প্রাথমিক স্তরে, ফাস্ট চার্জিং কেবল কোনও ফোনের ব্যাটারিতে সরবরাহ করা ওয়াটের সংখ্যা (W) বৃদ্ধি করে দেয়। একটি ব্যাসিক ইউএসবি পোর্ট, সংযুক্ত ডিভাইসে ২.৫W পাঠায় এবং হয়কি ফাস্ট চার্জারগুলি এই পরিমাণটি আরো বাড়িয়ে তোলে। বর্তমান-প্রজন্মের ডিভাইসগুলিতে বাক্সের ঠিক বাইরে ১৫W পাওয়ারের লেবেল বসিয়ে দিয়ে থাকে। কিছু নির্মাতাতো ৫০W, ৮০W এবং ১০০W চার্জারের অফার করে থাকে।
ব্যবহারকারীর দিকে থেকে, এটি তাদের ফোনের জন্য নরমাল চার্জার ব্যবহার করার মতোই সহজ। তবে নির্মাতাদের পক্ষে এটি উচ্চ-ওয়াটের পাওয়ারের সাথে মিলানো এতটা সোজা না।
ফাস্ট চার্জিং প্রক্রিয়া
আমরা আরও গভীরে যাওয়ার আগে আপনার একটি সাধারণ সূত্র জেনে রাখা উচিত। “Wattage, or power, is computed as a result of current (A, or amperes) multiplied by voltage (V, or volts). Current is the amount of electric current being transported, while voltage is the force that drives this current forward. Therefore, 3A/5V charging will deliver 15W of power.”
আরো পড়ুনঃ অ্যান্ড্রয়েডে কীভাবে গেস্ট মোড সেট আপ করবেন
একটা বিষয় আপনি লক্ষ্য করবেন যে নির্মাতারা ফাস্ট চার্জিং-এ ৫০%-৮০% চার্জের কথা বলে, মানে আপনার ফোনে আংশিক চার্জের বিষয়টি নিয়ে তারা মার্কেটিং করে। লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি কাজই এমন যে এটি চার্জ সঞ্চয় করে রাখে। কিন্তু আপনি কি খেয়াল করেছেন যে ফোন ফুল চার্জ হতে কিন্তু ফোন সময় অনেক বেশি নেয়? সময় গড়াতে গড়াতে এই ফাস্ট চার্জার ফুল চার্জ করতে প্রচুর সময় লাগাবে।
চার্জিং প্রক্রিয়াটি তিন ভাগে ভাগ করা যায়। আরও প্রযুক্তিগত তথ্যের জন্য ব্যাটারি বিশ্ববিদ্যালয়ের লিথিয়াম-আয়ন চার্জ পর্যায়ে চার্টটি একবার দেখুন। সংক্ষেপে, এখানে দেখানো হলঃ
- Stage 1 – Constant Current: Voltage increases towards its peak, while current stays constant at a high level. This is the phase where a lot of power is quickly delivered to the device.
- Stage 2 – Saturation: This is the phase where the voltage has reached its peak and current drops down.
- Stage 3 – Trickle/Topping: The battery is fully charged. In this phase, the power will either slowly trickle in, or will periodically charge a low “topping” amount as the phone consumes battery.
প্রতিটি প্রক্রিয়া শক্তি এবং দৈর্ঘ্যে ফাস্ট চার্জিং স্ট্যান্ডার্ডের উপর নির্ভর করে। স্ট্যান্ডার্ড হ’ল একটি প্রতিষ্ঠিত চার্জিং প্রক্রিয়া যা কোনও নির্দিষ্ট ডিভাইস, চার্জার এবং পাওয়ার আউটপুটের সাথে সম্পর্কিত। নির্মাতারা বিভিন্ন চার্জিং স্ট্যান্ডার্ড ডেভেলপ করে যা আউটপুট এবং চার্জের সময়গুলি পৃথক করতে সক্ষম হয়।
ফাস্ট-চার্জিং স্ট্যান্ডার্ড
এখানে মোবাইল ফোনে প্রয়োগ করা বিভিন্ন ফাস্ট-চার্জিং স্ট্যান্ডার্ড তুলে ধরলামঃ
আরো পড়ুনঃ অ্যান্ড্রয়েড ওয়ান নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন
বেশিরভাগ সংস্থা যাদের নিজস্ব চার্জিং প্রযুক্তি নেই তারা ইউএসবি-পিডি বা কোয়ালকম কুইক চার্জ ব্যবহার করে বা তাদের নির্দিষ্ট ডিভাইসের সাথে এটিকে খাপ খাইয়ে নেয়। অ্যাপল, এলজি, স্যামসাং এবং গুগলের মতো সংস্থাগুলি তাদের ফ্ল্যাগশিপ ফোনের জন্য এই স্ট্যান্ডার্ড ব্যবহার করে।
এই সমাধানগুলির বেশিরভাগই তাদের অ্যাডাপ্টারের ভোল্টেজ বাড়িয়ে চার্জিংয়ের গতি বাড়ায়। আউটলেটরটি হল ওপ্পো এবং ওয়ানপ্লাসের সমাধান, যা ভোল্টেজের পরিবর্তে কারেন্টকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি করে। এই ডিভাইসগুলির সাথে দ্রুত চার্জ করার জন্য তাদের নিজস্ব কেবল ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে।
চার্জিংয়ের ভবিষ্যত
চার্জিং প্রযুক্তি ক্রমাগত আরও ভাল এবং উন্নত হচ্ছে, কারণ নির্মাতারা চার্জিংয়ের গতি বাড়িয়ে চলেছে। আগামী কয়েক বছরে, আরও সংস্থাগুলি চার্জিং প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষা করবে এবং শিল্পে নতুন মান উদ্ভূত হবে। তবে সম্ভবত (সম্ভবত) স্ট্যান্ডার্ডগুলোর ক্ষেত্রে বেশিরভাগ নির্মাতারাই তাদের ব্যাকবোন হিসাবে ইউএসবি-পিডি ব্যবহার করবে।
উৎসঃ ১) হাউওটুগিক ২) পিসিম্যাগ ৩) এন্ড্রয়েড অথোরিটি