মাসখানেক হলো অ্যাপল নতুন আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স বাজারে এসেছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে দীর্ঘসময় প্রতীক্ষায় থাকার পর নতুন আইফোন ডিভাইস নিয়ে ক্রেতারা হতাশ। প্রায় একদশকেরও বেশি সময় ধরে আইফোনের ভক্ত এমন একজন বলেছেন ব্ল্যাকবেরি থেকে আইফোন ফোর এ স্থানান্তরিত হওয়ার পর আমি প্রতিটি নতুন আইফোন কিনেছি। এ বছরও ব্যাতিক্রম নয়। গত ১৭ সেপ্টেম্বর মোট ২৫৬ জিবির আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স বাজারে আসার একদিন পরই তা আমি কিনে নেই। পুরনো আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্সের সঙ্গে বদলে নেয়ার কারণে আমি ৬৪০ ডলার ফেরত পাই। কিন্তু এরপরেও ৭৮০ ডলার পরিশোধ করতে হয়।
কিন্তু দুই সপ্তাহ চালানোর পরেই আমি বুঝতে পেরেছি ‘ডায়নামিক আইল্যান্ড’ বাদ দিলে পুরনো আইফোনের সঙ্গে এর খুব বেশি পার্থক্য নেই। সেলফি ক্যামেরা এবং ফেস আইডি সেন্সরের ফাঁকা জায়গাটিকেই এ অভিনব নাম দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন নোটিফিকেশন, এলার্ট এবং কার্যক্রমগুলো একটি সক্রিয় স্থানে পাওয়া যাবে।
এ অবস্থায় নতুন আইফোন কেনার আগে স্টিভ জবসের কন্যা ইভ জবসের মন্তব্যটি বিবেচনা করা উচিত ছিলো বলে মনে করেন তিনি। ইভ জবস ইনস্টাগ্রামে আইফোন ১৪ নিয়ে কৌতুক করেন এবং লিখেন এটি প্রায় আগের মডেলের মতোই।
নতুন সিরিজের স্মার্টফোনগুলোয় একাধিক নতুন সফটওয়্যার ফিচার থাকে। কিন্তু আইফোনে এ ধরনের কিছু না থাকায় ভক্তরা হতাশ।
আমি স্বীকার করি আইফোন ১৪ প্রো এবং প্রো ম্যাক্স ফুল স্ক্রিন হওয়া নিয়ে আমি খুবই উত্তেজিত ছিলাম কিন্তু এই আবেগ এখন নেই। ডায়নামিক আইল্যান্ড ফিচারটি বেশ ভালো তাতে সন্দেহ নেই। ফিচারটি পছন্দ হওয়ার অন্যতম কারন গান শোনার সময় আপনি এটি চাপতে পারেন এবং এটি আপনাকে আবার এপ্লিকেশনে ফেরত নিয়ে যায়।
ভক্তের মুখে শোনা
আরএপি