Back

নোকিয়া কারখানা করছে গাজীপুরে

বিশ্বে মোবাইল ফোন বাজারের এক সময়ের শীর্ষ কোম্পানি, মহারথী নোকিয়ার কারখানা হচ্ছে বাংলাদেশের গাজীপুরে।

যেখানে ২০২০ সালের প্রথম তিন মাসের মধ্যে মোবাইল ফোন সংযোজন কারখানা করতে চায় কোম্পানিটি।

দেশে কারখানা করার উদ্যোগ নিয়ে ইতোমধ্যে বিটিআরসির সঙ্গে একাধিক বৈঠক করে বিস্তারিত বিষয়াশয় জেনে গেছে কোম্পানিটির স্থানীয় অফিসের শীর্ষ কর্মকর্তারা ও বিপণনকারী অংশীদার প্রতিষ্ঠান সেলুলার মোবাইলের প্রতিনিধিরা।

চলতি ডিসেম্বরের মধ্যেই কারখানা স্থাপনের আনুষ্ঠানিক আবেদন করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন নোকিয়া সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে যুক্ত শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা।

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে এই কারখানা হওয়ার কথা জানান তিনি। আর এই কারখানা হতে দেশের চাহিদার সবটাই সংযোজন করতে চান । 

এখন পর্যন্ত যে পরিকল্পনায় এগুচ্ছেন তারা, তাতে কারখানা আড়াই’শ এর বেশি কর্মী নিয়ে হবে। শুরুতে মোট ৬টি প্রোডাকশন লাইন, এরমধ্যে দুটি লাইন প্যাকেজিংয়ের।

কারখানায় ফিচার ও স্মার্টফোন দুটিই সংযোজিত হবে। প্রতি প্রান্তিকে ১০ লাখ ফিচার ফোন এবং ৮০ হাজার হতে ১ লাখ স্মার্টফোন করতে চাইছে কোম্পানিটি।

বর্তমানে নোকিয়া প্রতি প্রান্তিকে ৮ লাখ ফিচার ফোন ও ৫০ হাজার স্মার্টফোন স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করে থাকে।

এই নোকিয়া মোবাইল প্রযুক্তির রূপান্তরের প্রতিযোগিতায় সম্রাজ্য হারিয়ে ২০১৪ সালে মাইক্রোসফটের কাছে বিক্রি হয়ে যায়। বছর দু’য়েকের মধ্যে ফিনল্যান্ডের কোম্পানি এইচএমডি গ্লোবাল নোকিয়া হতে ব্র্যান্ড লাইসেন্স ও মাইক্রোসফট হতে ব্যবসা কিনে নেয়। ২০১৬ সালের শেষ দিকে নোকিয়ার নামে ফিচার ফোন এবং এক বছর পরে স্মার্টফোনও আনতে শুরু করে তারা।

আর সেই হতে হারানো সাম্রাজ্য ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন না হলেও মোবাইল ফোন বিশ্বে শক্ত অবস্থান তৈরিতে তাদের চেষ্টা লক্ষণীয়।

বাংলাদেশে সরকার মোবাইল ফোন উৎপাদনে এবং মোবাইল যন্ত্রাংশ আমদানিতে ব্যাপক শুল্ক ছাড়সহ নানা সুবিধা দেয়ার বিপরীতে হ্যান্ডসেট আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোয় স্থানীয়ভাবে দেশী-বিদেশী কোম্পানিগুলোর কারখানার করার হিড়িক পড়ে যায়।

২০১৮ সালে দেশে কারখানা স্থাপন করে সেখানে সংযোজিত হ্যান্ডসেট বাজারে এনেছে ওয়ালটন, সিম্ফনি, স্যামসাং, আইটেল-ট্র্যানসান ও ফাইভস্টার।

এই পাঁচ কোম্পানির পরে লাভা, ওকে মোবাইল, উইনস্টার, ভিভো দেশে কারখানা করে। এর মধ্যে সবশেষ কারখানা করে অপো, ব্র্যান্ডটি চলতি বছরের নভেম্বরে দেশে সংযোজিত স্মার্টফোন বাজারে ছেড়েছে।

এসবের বাইরে উই ও ফরমি নামে দুটি ব্র্যান্ড কারখানা স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করলেও তাদের উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি নেই।

কিউরেটর
কিউরেটর
https://notunblog.com
ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণে দক্ষ, কিউরেটর নিশ্চিত করেন নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্পন্ন ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *