প্রায় সময় দেখা যায়, একটা ওয়েবসাইটের সফলতার পেছনে সবচেয়ে বড় উপাদান হলো ওয়েবহোস্টিং। সেরা ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং বাছাই করে নিলে তা আপনার SEO তে বেশ বড় রকমের ভূমিকা রাখবে। এছাড়া আপনার প্রোডাক্ট বিক্রির সংখ্যাটাও কিন্তু বাড়িয়ে দিতে পারে। চারপাশ একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন হোস্টিং অনেক ধরনের হয়ে থাকে যেমনঃ ফ্রি, শেয়ার্ড, ভিপিএস, ডেডিকেটেড এবং ম্যানেজড ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং। এই গাইডে আমি আপনাদের সাহায্য করবো কিভাবে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য সেরা ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং বাছাই করবেন।
আপনারা জানেন নতুনব্লগবাংলাদেশের একমাত্র ওয়েবসাইট যেখানে ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে সকল সমস্যার সমাধান দেওয়া হয়। এছাড়া সকল খুঁটিনাটি বিষয়ে আমরা আলোচনা করি। চেষ্টা করি সবকিছু সহজ করে বোঝাতে।
ঠিক তেমনি সবকিছু সহজ করার জন্য আমরা সেরা কিছু ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং যেগুলো একেবারে বাছাই করা তা নিয়ে আলোচনা করবো। এই হোস্টিং কোম্পানীগুলো আমাদের দেশের টপ লেভেলের কোম্পানি। যেখানে ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং নিয়ে প্রশ্ন আসে যেখানে তাদের কোয়ালিটি এবং সাপোর্ট এর বিকল্প একটিও নেই।
ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং -এ কি কি থাকা আবশ্যক?
আপনি শুনে খুবই অবাক হবেন যে, ওয়ার্ডপ্রেস খুবই হালকা গড়নের একটি স্ক্রিপ্ট। এবং প্রায় সব হোস্টিং এর সাথে এটি খাপ খাইয়ে নিতে পারে। এরপরেও কিছু জিনিস থাকা আবশ্যক তা নিম্নরূপঃ
- পিএইচপি ভার্শন ৭ বা তার বেশি
- মাইএসকিউএল ভার্শন ৫.৬ বা তার বেশি
ওয়ার্ডপ্রেস জনপ্রিয়তার জন্য বিভিন্ন ওয়েবহোস্টিং কোম্পানি এক ক্লিকে স্ক্রিপ্ট ইন্সটলের সুযোগ দেয়।

ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং প্রোভাইডার বাছাই করার সময় যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে আপনার ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং নির্বাচন করার সময় গতি, নিরাপত্তা এবং নির্ভরযোগ্যতার বিষয়গুলো বিবেচনায় আনা প্রয়োজন। মূলত, “আপনি কি চাচ্ছেন ” তাই হলো সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনার প্রয়োজন মোতাবেক ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং ক্রয় আপনার হাজার হাজার টাকা বাঁচিয়ে দিতে পারে।
কি ধরনের ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং আপনার প্রয়োজন?
যেমনটা আগে বলেছিলাম, আপনার সামনে হরেক রকমে ওয়েব হোস্টিং সার্ভিস রয়েছে। যেমনঃ ফ্রি হোস্টিং, শেয়ার্ড হোস্টিং, ভিপিএস, ডেডিকেটেড এবং ম্যানেজড হোস্টিং। প্রতিটি বিষয়ে আলোচনা করব এরপর আপনি বেছে নিন আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী।
ফ্রি ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং
হ্যাঁ, ফ্রি হোস্টিং এর অস্তিত্ব রয়েছে। কিন্তু প্রতিটি ফ্রি হোস্টিং এর কিছু না কিছু বাধা রয়েছেই। আপনি ফ্রি হোস্টিং এর অফার বিভিন্ন গ্রুপ বা ফোরামে দেখতে পাবেন। সাধারণত যেকোন একজন ব্যক্তি কাজটি করে থাকে। সে তার সার্ভর হতে ছোট ছোট টুকরো ফ্রি তে দিয়ে কিছু উপার্জন করে থাকে। ব্যাপারটা হয় কি? এত আপনার সাইটে ওদের এড বসাতে হয়। সে এবার আপনার সাইটে সেই এড বিক্রি করে উপার্জন করবে। সবচেয়ে খারাপ ব্যাপার হলো আপনি জানতেই পারবেন না কখন আপনার সাইট তারা বন্ধ করে দিবে। আপনার ওয়েবসাইট নিয়ে যদি আপনি সতর্ক হন তাহলে যেকোন মূল্যে
ফ্রি হোস্টিং ব্যবহার হতে বিরত থাকুন।
শেয়ার্ড ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং
একদম নতুনদের জন্য শেয়ার্ড হোস্টিং খুবই জনপ্রিয়। কারন এটি সাশ্রয়ী এবং শুরু করার জন্য বেশ ভালো একটি পছন্দ। শেয়ার্ড হোস্টিং একটি বিশাল সার্ভর যেই সার্ভারে অসংখ্য ছোটখাট ওয়েবসাইটকে যুক্ত করা হয়। এক সার্ভারে অনেকগুলো সাইট হোস্ট করাতে পারে বলে প্রোভাইডার খুব কম দামে হোস্টিং দিতে পারে। একটা বিষয় মাথায় রাখা জরুরী যে, যত দ্রুত আপনার সাইট গ্রো হবে আপনার খরচ কিন্তু বাড়বে। আবারো বলছি ছোটখাট ব্লগার বা ওয়েবসাইটের জন্য একমাত্র শেয়ার্ড ওয়েব হোস্টিং ভালো শুরু।
ওয়ার্ডপ্রেস ভিপিএস হোস্টিং
ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার (ভিপিএস) একটি ভার্চুয়াল মেশিন বোঝায় । এটি একটি পৃথক সার্ভার যা কম্পিউটারকে একাধিক সার্ভারে পৃথক গ্রাহকের প্রয়োজনীয়তার সাথে ভাগ করে। যদিও এটি অন্য ব্যবহারকারীদের সাথে ভাগ করা হয় কিন্তু তারপরেও এট আপনাকে ডেডিকেটেড সার্ভারের মজা এনে দিবে। ভিপিএস হোস্টিং সিস্টেমে একই মেশিনে একাধিক সাইট থাকে যারা একে অন্যকে হস্তক্ষেপ করেনা। সাধারণ সার্ভারে একটি সাইট ডাউন হলে অন্যট ডাউন হয়ে যায়, কিন্তু ভিপিএস হোস্টিং সিস্টেমে এই ভয় নেই। কারন এখানে প্রতিটি সাইট স্বাধীনভাবে কাজ করে। মিডিয়াম ট্রাফিকের ব্লগ, ডিজাইনার বা ডেভেলপারদের জন্য এটি সেরা।
ওয়ার্ডপ্রেস ডেডিকেটেড হোস্টিং
ডেডিকেটেড ওয়েব হোস্টিং এখন ছোট-বড় সকল ধরনের ব্যবসায়ের ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়ে থাকে যেহেতু এটা আপনাকে অনেক বেশি ফ্লেক্সিবিলিটি দিয়ে থাকে। এখানে একটা ইনফরমেশন ই যথেষ্ট “আপনি একাই ১০০০ জন শেয়ারড হোস্টিং ইউজার বা ১০ জন ভিপিএস ইউজার এর সুবিধা ভোগ করতে পারবেন”। একটা ভাল ডেডিকেটেড সার্ভার হোস্টিং এর মাধ্যমে আপনি লক্ষ লক্ষ ভিজিটর কে আপনার ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার সুযোগ দিতে পারবেন। ডেডিকেটেড হোস্টিং এ আপনি সব কিছুই নিজের কন্ট্রোল এ রাখতে পারবেন।
ম্যানেজড ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং
হোস্টিং কোম্পানি নিজেই যদি সব অপারেটিং সিস্টেম/সফটওয়্যার ইনস্টল প্লাস দেখাশোনার কাজ করে তবে সেটাকে বলে ম্যানেজড হোস্টিং। তবে এই ম্যানেজ কিন্তু হোস্টিং কোম্পানী বিনা পয়সায় করে দিবে না। ম্যানেজ করার জন্য হোস্টিং কোম্পানীকে ৫০ ডলার থেকে শুরু করে কয়েকশত ডলার পর্যন্ত দিতে হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনাকে কোন চিন্তা করতে হবে না। আপনার হোস্টিং কোম্পানী আপনার ওয়ার্ডপ্রেস অপ্টিমাইজেশন হতে শুরু করে সিকিউর রাখার সব দায়িত্ব তাদের। এখন যেহেতু আপনি হোস্টিং সম্পর্ক নিয়ে সব জেনে গেছেন এখন আপনার সিন্ধান্ত নেওয়ার পালা আপনি কেমন ধরনের হোস্টিং বেছে নিবেন। আমরা প্রায় অনেক প্রোভাইডার হতে হোস্ট নিয়েছি এবং সাইটের ফাউন্ডার আকাশ নিজে আপনারদের জন্য কিছু হোস্টিং বাছাই করে দিয়েছেন।নিচের প্রতিটি হোস্টিং কোম্পানী বেশ সাপোর্টিভ এবং মানসম্পন্ন। এক নজরে সেসব কোম্পানীদের দেখে নিন।
ব্লগিং শুরু করার জন্য সেরা স্টেপ বাই স্টেপ গাইড প্রথমে দেখে নিন
সেরা ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং প্রোভাইডার

ওয়েবসাইট পরিচালনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো সঠিক হোস্টিং প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করা। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে XeonBD একটি পরিচিত নাম, যারা দীর্ঘদিন ধরে নির্ভরযোগ্য ও মানসম্মত হোস্টিং সেবা প্রদান করে আসছে।
তাদের সার্ভারের গতি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং গ্রাহকসেবার মান—সব দিক থেকেই উল্লেখ করার মতো। বিশেষ করে হঠাৎ ভিজিটরের চাপ বেড়ে গেলে ওয়েবসাইটের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে তাদের পারফরম্যান্স বেশ প্রশংসনীয়। আর যেকোনো কারিগরি সমস্যা হলে তাদের সাপোর্ট টিম দ্রুত সাড়া দেয়—যেটা অনেক ব্যবহারকারীর জন্যেই স্বস্তিদায়ক অভিজ্ঞতা তৈরি করে।
যারা পেশাদার মানের হোস্টিং খুঁজছেন বা বর্তমান সেবায় সন্তুষ্ট নন, তাদের জন্য XeonBD হতে পারে একটি বাস্তবসম্মত ও কার্যকর বিকল্প। প্রযুক্তিগত মান বজায় রেখে, ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী নমনীয়তা দেওয়াটাই যেন তাদের মূল দর্শন।

বাংলাদেশের অনলাইন উদ্যোক্তাদের জন্য নির্ভরযোগ্য হোস্টিং পাওয়া অনেক সময় চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই খাতে, যারা দীর্ঘদিন ধরে সুনাম ধরে রেখেছে, তাদের মধ্যে Toshhost একটি প্রশংসনীয় নাম। ব্যবহারের সহজতা, স্পষ্ট প্রাইসিং, আর কার্যকর সাপোর্ট—সব কিছু মিলেই এই প্রতিষ্ঠানটিকে অনেকেই পছন্দের তালিকায় রাখেন।
তাদের ইনফ্রাস্ট্রাকচার এমনভাবে গড়ে তোলা হয়েছে, যাতে ছোট ব্লগ থেকে শুরু করে বড় ই-কমার্স সাইট পর্যন্ত সবাই স্বাচ্ছন্দ্যে পরিচালনা করতে পারে। ইন্সটলেশন থেকে শুরু করে কনফিগারেশন পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটিই বেশ ব্যবহারকারী-বান্ধব, ফলে নতুনদের জন্যও সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা কম।
সার্ভার পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রেও Toshhost ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। ওয়েবসাইট চালু থাকাকালীন সময়জুড়ে গতি ও স্থায়িত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে তাদের প্রশংসা না করে উপায় নেই। আর যেকোনো সময় সহায়তা লাগলে, তাদের সাপোর্ট টিম ঠিকমতো পাশে থাকে—যা একজন ব্যবহারকারীর জন্য ভরসা সৃষ্টিকারী এক অভিজ্ঞতা।

ওয়েবসাইটের ভিত্তি যতটা নির্ভরযোগ্য, ততটাই দৃঢ় হয় আপনার অনলাইন উপস্থিতি। যারা নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্স ও নির্ভরতা চান, তাদের অনেকেই এখন HostingBangladesh-এর দিকে ঝুঁকছেন।
এই প্ল্যাটফর্মটি বিশেষভাবে নজর কেড়েছে তাদের অনবদ্য সার্ভিস রেকর্ড ও সহজ ব্যবস্থাপনার জন্য। ব্যবহারকারীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে তারা এমন ইন্টারফেস ও সেটআপ প্রক্রিয়া তৈরি করেছে, যা বিশেষজ্ঞ না হয়েও একজন নতুন ব্যবহারকারী অনায়াসে পরিচালনা করতে পারেন।
তাদের হোস্টিং পারফরম্যান্স, আপটাইম রেট এবং তথ্য সুরক্ষা—এই তিনটি দিকেই যথেষ্ট যত্ন রয়েছে। তবে যেটা বেশি চোখে পড়ে, তা হলো প্রাঞ্জল গ্রাহকসেবা। কোথাও ঠোক্কর খেলেও সাহায্য পাওয়ার জন্য খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয় না—এটা অনেকের জন্যেই স্বস্তির বিষয়।

যখন ওয়েবসাইট নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করা হয়, তখন শুধু দাম নয়—দেখা দরকার স্থায়িত্ব, সাপোর্ট আর ব্যবস্থাপনার সহজতা। এই দিকগুলো বিবেচনায় আনলে ItNut Hosting নিঃসন্দেহে নজরকাড়া একটি অপশন।
বাংলাদেশভিত্তিক এই হোস্টিং কোম্পানিটি বিগত কয়েক বছরে অনেক ব্যবহারকারীর আস্থা অর্জন করেছে। তাদের সেবা কাঠামো গুছানো, প্যাকেজগুলোর বৈচিত্র্য ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী খাপ খায়, এবং নতুন ব্যবহারকারীদের জন্যও onboard হওয়া বেশ সহজ।
একটি ছোট ব্লগ হোক বা মাঝারি আকারের ব্যবসায়িক সাইট, ItNut Hosting এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে যা বেশ নমনীয় এবং সময়োপযোগী। যেটা বেশি আশ্বস্ত করে, তা হলো—যেকোনো টেকনিক্যাল জটিলতায় পাশে থাকার জন্য তাদের সাহায্য টিম বেশ আন্তরিক ও সময়নিষ্ঠ।
5 comments
আপনার পোষ্টটি পড়লাম খুব মন দিয়ে। আপনি শুধু বাংলাদেশের হোস্টিং এর কথা বললেন আর ওয়েব সাইটের নাম দিলেন। কিন্তু আমার জানা মতে বাংলাদেশের হোষ্টিং সার্ভার অনেক অনেক স্লো। নেইমচিপ টাই আমার কাছে ভালো মনে হয়।
ধন্যবাদ আপনাকে
আপনার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে আলোকপাত করেছেন—হোস্টিং সার্ভারের গুণমান এবং আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে তুলনা।
আমাদের মূল লেখাটি বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা, বিশেষ করে যারা ডোমেইন ও হোস্টিং কেনার সময় আন্তর্জাতিক পেমেন্ট করতে গিয়ে ডলার এন্ডোর্সমেন্টসহ নানা ধরনের ঝামেলার মুখোমুখি হন। এই কারণেই আমি বাংলাদেশের কয়েকটি জনপ্রিয় প্রোভাইডার উল্লেখ করেছি—যাদের কাছ থেকে অনেকেই তুলনামূলকভাবে কম খরচে, সহজ পেমেন্টে এবং ভাষাগত সহযোগিতায় ভালো সার্ভিস পাচ্ছেন।
তবে, আপনার মতামত একেবারেই যৌক্তিক—সবার অভিজ্ঞতা একরকম নাও হতে পারে। কেউ কেউ নেইমচিপ বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক কোম্পানিতে ভালো পারফরম্যান্স ও সাপোর্ট পেয়ে থাকেন, বিশেষ করে যারা টেকনিক্যাল পারদর্শী এবং আন্তর্জাতিক ট্রানজ্যাকশন পরিচালনায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
এক কথায় বললে, বিষয়টি ব্যবহারকারীর প্রয়োজন, দক্ষতা এবং সুবিধার উপর নির্ভর করে। ভবিষ্যতে লেখাটিকে আরও ভারসাম্যপূর্ণ করে তুলতে আপনার মন্তব্য অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করবো।
আবারও ধন্যবাদ, সুন্দরভাবে মতামত জানিয়ে আলোচনাকে সমৃদ্ধ করার জন্য।
জানাশোনা কথায় কান দিলে সব সময়ই পস্তাতে হয়। বাংলাদেশের প্রথম সারির অনেকগুলো ওয়েব হোস্টিং প্রোভাইডার ভালো মানের ওয়েব হোস্টিং সার্ভিস দিচ্ছে। সার্ভিস বলতে, হোস্টিং সার্ভারে যুক্ত যন্ত্রাদির কারিগরি সক্ষমতা, ভিজিটর লোড ব্যালেন্স সক্ষমতা, পেজ স্পিড, বিক্রয় পরবর্তী সেবা সবকিছুই উল্লেখযোগ্য – যা কিনা বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত ৬৫% গড়পড়তা মানের ওয়েবসাইট হোস্ট করার জন্য যথেষ্ট উপযোগী। তবে কেন শুধু শুধু অপ্রয়োজনে বেদিশী প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস এর উপর সদা সর্বদা নির্ভরশীল হয়ে থাকা? আগে ব্যবহার করে দেখুন, তারপর বিচার বিশ্লেষণ করবেন।
আশা করি নিজের দেশের ভালো ব্যবসায়ীদের সাপোর্ট ও সেবা গ্রহণ করে আর যাই হোক ঠকবেন না – ধন্যবাদ
নতুন ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারীদের মুখোমুখি হওয়া সবচেয়ে ভয়ঙ্কর একটি কাজ হ’ল: তাদের ওয়েবসাইটের জন্য “Best Web Hosting” বেছে নেওয়া।
বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার হোস্টিং কোম্পানি রয়েছে। হোস্টিং কোম্পানিগুলো অনেকগুলো পৃথক প্যাকেজ সরবরাহ করে।
ফলে কোন ব্যবহারকারী কোন প্যাকেজটি নির্বাচন করবে তা পরিষ্কার নয়।
নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য হোস্টিং বেছে নেওয়ার অভিজ্ঞতা যেন একেকটা ধাঁধার মতো—হাজারো বিকল্প, নানা শর্ত, আর বিভ্রান্তিকর অফার! তবে আসল রহস্যটা হলো নিজের প্রয়োজনটাই আগে বোঝা। কারণ সেরা হোস্টিং মানেই দামি হোস্টিং নয়—সেরা হোস্টিং হলো যেটা আপনার লক্ষ্য আর সামর্থ্যের সঙ্গে খাপে খাপে মিলে যায়।